শিরোনামঃ নতুন জুতো ।
জুতো
নিয়ে লিখতে গিয়ে সবার আগে চোখে ভাসে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জুতা আবিষ্কার" কবিতাটি। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে একটি
গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে এই কবিতাটা কাব্য নাট্য রূপে মঞ্চে
পরিবেশন করিয়ে ছিলাম। বেশ প্রশংসিত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। কবিতাটির অংশ বিশেষ
উল্লেখ করছি—
"কহিলা
হবু শুনগো গোবুরায়,
কালিকে
আমি ভেবেছি সারারাত্র –
মলিন
ধুলা লাগিবে কেন পায়
ধরনী
মাঝে চরণ-ফেলা মাত্র।"
এ সমস্যার সমাধানের জন্য সকলে মিলে যুক্তি করে
সাড়ে সতের লক্ষ ঝাঁটা কিনল। কিন্তু ঝাঁটার ঘায়ে ধুলো দূর করতে গিয়ে উল্টো পুরো
দুনিয়া ধুলোয় ধূসরিত হলো।.
জ্ঞানী
গুনি সবাই সমস্যার সমাধান করতে না পেরে চোখে শর্ষে ফুল দেখলেন। দেশ বিদেশের সকল যন্ত্রী চোখে চশমা
লাগিয়ে ভাবতে বসে উনিশ পিপে নস্য শেষ করে ফেললেন তবু কিছুই করতে পারলেননা।
অবশেষে সমাজের একজন
নিম্ন স্তরের সাধারণ মানুষ চামার কুলপতি এগিয়ে এলেন" নিজের চরণ দুটি ঢাকো
তবে ধরনী ঢাকিতে নাহি হবে।
রাজার পদ চর্ম আবরণে ঢাকিল বুড়া বসিয়া পদোপ্রান্তে। মন্ত্রী কহে, আমারো ছিল মনে কেমনে পেরেছে সেটা জানতে। সেদিন হতে চলিল জুতা পরা - বাঁচিল গোবু, রক্ষা পেল ধরা। "
অনেক সময় অনেক সহজ সমস্যার সমাধান বিজ্ঞজনেরাও দিতে ব্যর্থ হন। আবার অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান সাধারণ মানুষের মাথা থেকেও বেড়িয়ে আসতে পারে। তাই সমাজের কাউকেই হেলা করা উচিত নয়। কাউকেই ছোট করে দেখা অনুচিত।
আজকের। টোপিক নতুন জুতো। জুতো আমাদের শরীরের সজ্জার একটি অংশ। জুতো দেখে মানুষের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ভালো পোশাকের সাথে মানানসই দামী জুতো পড়েন। অনেকেই। মেয়েদের কাছে জুতোর আলাদা মূল্যায়ন। তারা ড্রেসের সাথে জুতো ম্যাচ করে পড়তে ভালো বাসেন। পোশাকের ডিজাইন ও রংয়ের সাথে ম্যাচিং জুতো পড়লে মন ভরেনা। সু হাইহিল, স্লিপার পড়েন। নতুন জুতোর আলাদা কদর তাদের কাছে।
জুতোর অবস্থান পায়ের নিচে হলেও এটি মার্জিত পোশাকের অংশ। শীত তাপ থেকে বাহিরা ঘাত থেকে পাকে রক্ষা করে। পায়ের তথাদেহের সৌন্দর্য বর্ধন করে। সুতরাং এটিও মানব জীবনে গুরুত্বের দাবিদার।
* * * * * *
পোস্টটি লিখেছেন
মাজেদা বেগম
প্রাক্তন অধ্যক্ষ
সরকারি জনতা কলেজ।
তারিখঃ ১৮/০৫/২০২২
No comments